চতুর্দশপদী

চতুর্দশপদী

সময়ের স্রোত বয়। কুঁকড়ে যাওয়া কবির শরীর
ব্যাঙের ত্বকের মত অনুভব করে সেই সময়ের গ্লানি;
পানির মতই লাগে কালস্রোত। বল ওগো নিরভিমানিনী
চিড় ধরা এই দেহে কেন বিদ্ধ হয়, এত বিস্মৃতির তীর?

কেবল ঝরার শব্দ। পাতা ঝরে। শিশিরের শেষ ফোঁটাটুক
মুক্তার বিন্দুর মত ঝুলে আছে কাঁঠালিচাঁপার ফুল থেকে,
শহীদের রক্ত যেন লেগে গেছে খুনির বিবেকে
তেমনি কি টলমল করে অই পুষ্পচোয়া পতনে উন্মুখ—

সময়ের প্রাণরস? প্রকৃতির নিগূঢ় ভেষজে
যৌবন ফেরে না আর। চারপাশে ঝরে যাওয়া সমাপ্তির গান
মর্মবেদনার মত; বালি ওড়ে কীর্তিনাশা নদীর বিরান
পেট থেকে। কাদাখোঁচা পাখি এক কাদাখুঁচে আহার্যের খোঁজে।
নদীর মৃত্যুর পর তার সিক্ত তলপেট ঘেটে
যা পেয়েছি এঁটোকাটা সময়ের জিহ্বা নেয় চেটে।

১০-০৯-০১

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *