অন্যপ্ৰাণ

অন্যপ্ৰাণ

দিনান্তের ফেরা পথে কোনোদিন দৈবাৎ কখনো
যদিবা পথের মোড়ে চোখ ফেলে থমকে দাঁড়াই
অনেক দৃশ্যের ফাঁকে অকস্মাৎ হয়তো বা কোনো
ভিখারী ছেলের মৃত্যু বুকে বিধে নিজেকে হারাই।
ঘন কালো রক্ত মাখা, সাক্ষ্যহীন বিকৃত শরীরে
চক্ষুকে যন্ত্রণা দেয় পথচারী যায় পিঠ ফিরে ।
সেখানেও থামবো না অনন্ত কালের বাঁধা ঋণে
ক্ষণকাল চক্ষু বুজে চলে যাবো পদক্ষেপ গুনে।

কেননা নিজেকে আমি সঁপেছিকালের অঙ্গীকারে
দু’হাতে রেখেছি বাঁধা–সাংসারিক বঞ্চনার দায়ে
নিঃশব্দে মিলিয়ে গেছি জীবিকার নির্মম শিকারে
ক্ষণিক বিরুদ্ধ-যুদ্ধে পরাজয়-চিহ্ন সারা গায়ে ।
তবু কোনো দুঃখ নেই, তুচ্ছ সব আনন্দ বেদনা
উন্মুখ হৃদয়ে আছি কাকে যেন দিতে অভ্যর্থনা।
এক মৃত্যু পার হলে, আরো বহু মৃত্যুর শিয়রে
বাঁচার আশ্চর্য তৃষ্ণা জেগে উঠবে নিশীথ প্রহরে।

ভিখারী ছেলের মৃত্যু ক্ষণতরে যদি বেঁধে বুকে
তাও ফেলে চলে যাবো দ্বিধাহীন বাঁচার সম্মুখে ।